পর্ণগ্রাফির ভয়াবতা-২

পৃথিবী আজ এগিয়ে চলছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে। অর্থনীতি,সমাজনিতি,রাজনিতি,পরিবারনিতি, সকল বিষয়ে পৃথিবী আজ এগিয়ে।মানুষের চিন্তাচেতনা এখন অনেক উন্নত। সাগর,নদী,পাহাড়,পর্বত ও আকাশের সিমানা পেরিয়ে মানুষ এখন গ্রহ নক্ষত্রে বসবাসের চিন্তা করছে। এতসব চিন্তার করতে করতে সবাই এখন আধুনিক সভ্য মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করছে। বাস্তবে কি তাই হচ্ছে? আমরা কি আসলেই সভ্য মানুষ হচ্ছি, নাকি সভ্যতার নাম দিয়ে বিবেককে বিসর্জন করে দিচ্ছি?
আজকের শিরোনামে আমার আরো একটি লেখা কয়েকদিন আগে লিখেছিলাম। সেখানে এই বিষয়ে পুরোপুরি শেষ করতে পারি নাই। তাই মনে হল আরো একটু ভালোভাবে বিষয়টা তুলে ধরা প্রয়োজন। আমার আগের লেখায় পর্ণগ্রাফির ভয়াবহতার শারীরিক মানসিক এর কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।কিন্তু সবথেকে বড় যেই খতিটা আমাদের হচ্ছে সেটা হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। আধুনিক এই সমাজে আমরা নীল ছবির কালো ধাবায় পরে ধংশ করে ফেলছি আমাদের সুন্দর এই সমাজ টাকে। আজকের এই সময়টাতে সবথেকে ভয়াবহ একটি দিক হল ''ধর্ষণ''। ধর্ষণ বিষয়টা এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে,পেপার পত্রিকা টেলিভিশন যাই খুলা হয়না কেন, এমন কোন দিন নেই যে ধর্ষণের খবর আসেনা। ধর্ষণ যে বর্তমান সময়ে চালু হয়েছে তেমনটা না। প্রাচীন যুগ থেকেই এর প্রসারতা শুরু। 
পার্থক্য হচ্ছে বর্তমানে এর ব্যাপকতাটা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি এর ধরন ও পাল্টে গেছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করছে, ভাই বোনকে করছে, মা ছেলেকে করছে, এই সংস্কৃতি ইউরোপ আমেরিকাতে অনেক আগেই শুরু হয়ে ছিল। আস্তে আস্তে এর প্রভাব আমাদের দেশেও বিস্তার লাভ করেছে। নিজের সন্তান ও বাবা মায়ের কাছে নিরাপদ নয় এখন। সমাজের কোন বিভাগেই মেয়েরা নরাপদ নয়। সামজিক অবক্ষয় এতটাই বেড়ে গেছে যে, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও এখন আর কাজ করছেনা। যারা নীল ছবির সাথে পরিচিত তারা জানেন, সেক্সচুয়াল বিষয়টাকে কত আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা হয়। তাদের ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তা বাড়াতে গিয়ে বাবা মেয়ে, মা ছেলে, ভাই বোন এর কাহিনি তৈরি করছে। মানুষ এগুলো দেখতে দেখতে বিষয়টাকে খুব স্বাভাবিক মনে করে নিয়েছে। যার কারণে ধর্ষণে ও এই বিসয়গুলা এখন নতুন করে যোগ হয়েছে। যেটা একটা সমাজ ধংসের জন্য অনেক বড় একটা কারণ। যারা ধর্মীয় চর্চা করেন তাদের কাছেও ছেলে মেয়েরা নিরাপদ নয়।
কোন ধর্মই কিন্তু এই বিষয়টাকে সাপোর্ট করে নাই। সকল ধর্মে এইটার ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা আছে। আসুন দেখি বিভিন্ন ধর্মে এর সাস্তি সরুপ কি বলা আছে।
১। ইসলাম ধরমঃ ইসলামে যিনার শাস্তি বেক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যিনাকারি যদি বিবাহিত হয়,তাহলে তাঁকে প্রকাশে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আর যদি অবিবাহিত হয় তাহলে তাঁকে প্রকাশে ১০০ বেত্রাঘাত করা হবে।
২। হিন্দু ধরমঃ অবৈধ যৌনতা ও মেয়েদের ঠোকানর শাস্তি হল তাদেরকে রক্ত পুজে ভরা একটি কুপে নিক্ষেপ করা হবে।
এছারাও বেশিরভাগ ধর্মে ধর্ষণকে বড় ধরনের অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করেছে। 
সাম্নের দিনগুলোতে আরও ভয়াবহ আকার ধারন করবে, যদি না আমরা এখনি এই বিষয়টার প্রতি নুর না দেই। পৃথিবীর অনেক দেশেই পর্ণগ্রাফি নিষিদ্ধ। এর কারণে একটি রাষ্ট্র মেধাশুন্য হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আমাদের এই সুন্দর দেশটাকে আর অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই রাষ্ট্রের পদক্ষেপের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সচেতন হতে হবে।